Skip to main content

Posts

Showing posts from December, 2018
  আংটি বদল হল তিরন্দাজ  দীপিকা ও অতনুর রাঁচি, ১১ ডিসেম্বর: এই মাসের ১৬ তারিখ বিয়ে ‘ব্যাডমিন্টন জুটি’ পারুপল্লী কাশ্যপ ও সাইনা নেহওয়ালের। আর আগামী বছর ভারতের আর এক ‘স্পোর্টস জুড়ি’ তিরন্দাজ অতনু দাস ও দীপিকা কুমারি শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হতে চলেছেন। সোমবার দুই তিরন্দাজের মধ্যে আঙটি বদল হয়ে গেল। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ভারতের তারকা তিরন্দাজ দীপিকাকে এদিন অনুষ্ঠানে বেশ ঝকঝকে লাগছিল। ক্রিম ও সবুজ রঙের ‘লেহেঙ্গা-চূর্ণি’ ছিল তাঁর পরনে। আর ২৬ বছর বয়সী অতনুর পরনে ছিল নীল ও ক্রিম রঙের রাজকীয় বেশ। সোমবার দীপিকার বাড়ি রাতু-ছাত্তির বাড়িতেই এই অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা ও তাঁর স্ত্রী মীরা মুন্ডা।  এদিন অনুষ্ঠানের পর ভারতের দুই তিরন্দাজ দম্পতি মিডিয়াকে বলেন, ‘আগামী বছর আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় ওলিম্পিকসের বাছাই পর্ব রয়েছে। ফলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিয়ের অনুষ্ঠান আগামী বছর নভেম্বরে করব।’ দীপিকা ও অতনু, দু’জনেই রিও ওলিম্পিকসে গিয়েছিলেন।  দু’বারের ওলিম্পিয়ান দীপিকা একদা র্যা ঙ্কিংয়ে ...
ধোনির থেকে অনেক  কিছু শিখেছি: ঋষভ পন্থ পারথ, ১১ ডিসেম্বর: প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা ধুরন্ধর উইকেটরক্ষক হিসাবে পরিচিত মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেশের হিরো বললেন ঋষভ পন্থ। অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ১১টি ক্যাচ ধরে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। ১৯৯৫ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের জ্যাক রাসেল ১১টি ক্যাচ তালুবন্দি করেছিলেন। পরে সেই রেকর্ড স্পর্শ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি’ভিলিয়ার্স। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জোহানেসবার্গে। ঋষভ একই সঙ্গে ভারতীয় উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ধরার নজির গড়েছেন। তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহাকে (১০টি)। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছ’টি ক্যাচ ধরে ধোনির নজির স্পর্শ করেছিলেন ঋষভ। তিনি বলেছেন, ‘ধোনি দেশের হিরো। ক্রিকেটার হিসাবে, একজন মানুষ হিসাবে আমি ওর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। যখনই কোনও সমস্যায় পড়঩ছি, ওঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তার থেকেও বড় ব্যাপার হল সমস্যার সমাধান হয়েছে চটজলদি। ধোনির কাছাকাছি থাকলে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যায়। চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কীভাব...
    ভারতীয় দলকে সতর্কবার্তা সৌরভের  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য সৌরভ গাঙ্গুলি অভিনন্দন জানালেন বিরাট কোহলিদের। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন,‘বাকি তিনটি টেস্টেও জয়-পরাজয়ের নিষ্পত্তি হবে। পিছিয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়া আরও বেশি ভয়ঙ্কর। ওরা সোমবার বেশ লড়াই করেছে। তাই প্রথম টেস্টে জিতলেও বিরাটদের সামনে তীব্র লড়াই।’ অ্যা঩ডিলেডে দুরন্ত টেস্ট জয়ের লগ্নে শচীন তেন্ডুলকরের মনে পড়ছে ১৫ বছর আগেকার কথা। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ভারত টেস্ট জিতেছিল রাহুল দ্রাবিড় ও অজিত আগরকরের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক শচীন তেন্ডুলকর টুইট করে বিরাট কোহলিদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি ২০০৩ সালের টেস্ট জয়ের কথাও বলছেন। শচীন বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন চেতেশ্বর পুজারার কথাও। ভিভিএস লক্ষ্ণণ, বীরেন্দ্র সেওয়াগের পাশাপাশি মাইকেল ক্লার্ক, শেন ওয়ার্ন, মিচেল জনসনরাও বিরাট অ্যান্ড কোম্পানিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিনোদ রাইয়ের অভিনন্দন: অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্ট জেতার জন্য বিরাট কোহলিসহ ভারতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্র...
   গত ৩৩ মাস মোহন বাগানকে হারাতে পারেনি ইস্ট বেঙ্গল  নিজস্ব প্রতিনিধি,কলকাতা: সোমবার ইস্ট বেঙ্গল ফুটবলারদের ছিল ছুটি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের ফুটবলাররা দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন বলে ক্লান্তির জন্য মঙ্গলবারও লালরিনডিকা- বোরহা ফার্নান্ডেজদের প্র্যাকটিস ছিল না। অনুশীলনের ওয়ার্কলোডে ভারসাম্য আনতে চাইছেন মোহন বাগান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীও। সোমবার মোহন বাগানের জিম সেশন ছিল। মঙ্গলবার পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ডার্বির আগে তিনি ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছেন কম। শুনছেন বেশি। বরং শনিবার ইস্ট বেঙ্গল- গোকুলাম ম্যাচে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স নিয়ে বিভিন্ন ফুটবলারের মতামত নিয়েছেন। মঙ্গলবার মাঠেই আরও একপ্রস্থ কথাবার্তা বলতে দেখা গেল তাঁকে । ঘটনা হল, গত ৩৩ মাসে ডার্বিতে মোহন বাগানকে হারাতে পারেনি ইস্ট বেঙ্গল। ইস্ট বেঙ্গল শেষবার মোহন বাগানকে হারিয়েছিল ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল। ম্যাচটি হয়েছিল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজংঘা স্টেডিয়ামে। লাল হলুদ সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছিল। ম্যাচটিতে মোহন বাগানের ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত’ কোচ হিসাবে ডাগ আউটে ছিলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। যদি...
সমস্ত কাঁচা বাড়ি পাকা করার উদ্যোগ নিল নলহাটি পুরসভা  সংবাদদাতা, রামপুরহাট: প্রতিশ্রুতি মতো এলাকার সমস্ত কাঁচা বাড়ি পাকা করার উদ্যোগ নিল নলহাটি পুরসভা। মঙ্গলবার থেকে হাউজিং ফল অল প্রকল্পে ১৬টি ওয়ার্ডেই বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এব্যাপারে নলহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন্দ্রপ্রসাদ সিং বলেন, পুরভোটের প্রচারে এসে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুর এলাকার সমস্ত কাঁচা বাড়ি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জেলা সভাপতির সেই প্রতিশ্রুতি শুধু যে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য ছিল না তা বাড়ি নির্মাণের মধ্য দিয়েই প্রমাণ হচ্ছে।  গতবছর নলহাটি পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রতিটি সভায় ভোটের পর পুর এলাকার সমস্ত কাঁচা বাড়ি পাকা করার কথা বলেছিলেন অনুব্রত। যা নিয়ে বিরোধীরা সোচ্চার হয়, পাল্টা প্রচারেও নামে তারা। কিন্তু ভোটের ফলাফলে সবুজ শিবির জয়ী হয়। রাজেন্দ্রবাবু বলেন, প্রথম পর্যায়ে ২৩২জনকে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে উপভোক্তরা বসবাস শুরু করেছেন। এদিন থেকে আরও ৭০০টির বেশি বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হল। তার অর্থও বরাদ্দ হয়েছে। বাড়ি প্রতি বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৭হাজার টাকা। যার মধ্যে ২৫হা...
দক্ষিণবঙ্গ   দুর্গাপুরে উন্নয়নে ১২০ কোটি টাকা খরচ করছে পুরসভা  বিএনএ, আসানসোল: প্রায় ১২০কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়নের কাজ করছে দুর্গাপুর পুরসভা। শহরের প্রতিটি বেহাল রাস্তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু রাস্তার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি রাস্তাগুলিও সংস্কারের কাজ চলছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপি’র অধীনে থাকা টাউনশিপ এলাকাতেও প্রায় চার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি বলেন, শহরের রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি আমরা নিকাশি নালা সংস্কার এবং পথবাতি বসানোর দিকেও জোর দিয়েছি। উন্নয়ন নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। দরকার হলে আবার টাকা বরাদ্দ করা হবে।  পুরসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কর্মী নিয়োগ নিয়ে পুরসভায় ধুন্ধুমার বেধে যায়। অনেকে উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু, পুরকর্তৃপক্ষর দাবি, শহর জুড়ে উন্নয়ন হচ্ছে। আগামীদিনে সুয়ারেজের কাজও শুরু হবে। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থাও উন্নতি করা হবে। এই কাজ শেষ হলে দুর্গাপুরের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 
  ক্যান্সার সচেতনতায় রুবি  দেশজুড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা খুবই চিন্তার ব্যাপার। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র এ রাজ্যেই ফি বছর ১৩ হাজার মহিলা এই রোগে আক্রান্ত হন। জনমানসে এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব, চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাইপাসের রুবি জেনারেল হাসপাতালের রুবি ক্যান্সার সেন্টার, রুবি ক্যান্সার কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন এবং বেঙ্গল অঙ্কোলজি ফাউন্ডেশনের মিলিত উদ্যোগে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। রুবি হাসপাতাল থেকে পদযাত্রাটি শুরু হয়। সেখানে ক্যান্সার যুদ্ধে জয়ী মানুষ, তাঁদের পরিবার, চিকিৎসক সহ বহু মানুষ অংশগ্রহণ নেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার নির্ণয় শিবিরের আয়োজন করা হবে। পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণে অক্ষম মানুষদের অর্থসাহায্যও করা হবে। 22 nd   November, 2018
শরীর ও স্বাস্থ্য    চোখ নিয়ে পড়াশোনা  প্রচুর কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে আই কেয়ার বা চক্ষু পরিষেবা। জানাচ্ছেন সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের অপ্টোমেট্রিস্ট ও সোশ্যাল প্রোজেক্ট হেড অভিজিত্‌ দাস। প্রচুর কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে আই কেয়ার বা চক্ষু পরিষেবা। শুধু শহরে নয়, গ্রামগঞ্জেও। বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কেউ এখন চশমার দোকানে চাকরি করছেন, কেউ চোখের হাসপাতালে চাকরি করছেন, কেউ আবার নিজের দোকান খুলে বসেছেন।  বাস্তব চিত্রটা হল, এই রাজ্যেরই প্রত্যন্ত এলাকার একটি বড় সংখ্যার মানুষ সরকারি-বেসরকারি চোখের হাসপাতালে পৌঁছে চোখের নিয়মিত চিকিত্‌সা করান না। ফলে মানুষ খুব অল্প বয়সেই চোখের সমস্যায় পড়ছে। গ্রামে চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে দেখা গিয়েছে, প্রচুর বাচ্চা চোখে ভালো দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু, তা নিয়ে তাদের বা বাবা-মায়েদের বিশেষ হেলদোলই নেই।  সাম্প্রতিক একটি পরিসংখ্যানে জানা যাচ্ছে, দেশের জনসংখ্যার ১ শতাংশ মানুষের ৫০ পেরোলেই চোখে ভালো দেখতে পান না। সচেতনতার অভাব, দেরিতে চিকিৎসা শুরু করা ইত্যাদি নানা কারণে তাঁদের একাংশ অন্ধ...
  অল্পবয়সেই চোখের  সমস্যা চিকিৎসা কী?  ঘরে ঘরে চশমা। এখন অল্পবয়সেই অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে চোখের নানা সমস্যায়। সমাধান কোন পথে? জানাচ্ছেন এএসজি আই হসপিটালের কনসালটেন্ট অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ কৌশিক বসু।  অল্পবয়সিদের মধ্যে চোখের সমস্যা কি বাড়ছে?  অল্পবয়স বলতে একদম বাচ্চা থেকে বছর ২৫ পর্যন্ত বলা যেতে পারে। প্রতিদিনের চিকিৎসা অভিজ্ঞতায় দেখছি, এখন এই বয়সের বেশিরভাগ মানুষ চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় প্রতি ঘরে ঢুকে পড়েছে চশমা। এমনকী দেড়-দুই বছর বয়সি বাচ্চাকেও চশমা পরতে হচ্ছে। আর সত্যি বলতে, কমবয়সে এত সংখ্যক মানুষের চোখের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ বলা বেশ কঠিন। তবে দীর্ঘক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার, টিভির স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে কিছুটা সমস্যা বেড়েছে।  কী কী সমস্যা হয়?  অল্পবয়সে চোখে পাওয়ার আসা, রেটিনার সমস্যা, ট্যারা চোখ, চোখে আঘাত, ইনফেকশন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পাশাপাশি জন্মগত ছানি, গ্লকোমার মতো সমস্যাও এখন দেখা যায়।   চোখে পাওয়ার আসার বিষয়টা যদি একটু ভেঙে বলেন?  এক্ষেত্রে ব্যক্তি খালি চোখে কাছের অথবা দূরের জি...
দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার বিপদ সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে নানা মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়। বিজ্ঞানীরা এই সংক্রান্ত গবেষণার জন্য চার ধরনের মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন। তারা হল, যাঁরা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে সকালে ওঠেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতিরাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি বিভাগে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৩৮ থেকে ৭৩ বছরের মধ্যে। বিজ্ঞানীদের এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক ক্রোনোবায়োলজি জার্নাল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, যে সকল ব্যক্তি নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ু রাতজাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি। তবে এর সঙ্গে ওই ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, গোত্র, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভাস, জীবনযাত্রা ইত্যাদি নানা বিষয় জড়িত। এই সবগুলো বিষয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেবের শেষেই দেখা যায়, সকালবেলায় যাঁরা ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাঁদের দেহঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের অকালে প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়তেই থাকে। এখানেই শেষ নয়। দেখা গিয়েছে— রাত জাগার বদভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তা...
ড়ারে ঢুকে গেল ঘিয়ে ভাজা লাড্ডু, নেই আবির, ঝাঁ চকচকে বিজেপি অফিস শুনশান দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: ২০১৭ সালের মার্চ। স্থান নয়াদিল্লির অশোকা রোডে বিজেপির পূর্বতন কেন্দ্রীয় কার্যালয়। ২০১৮ সালের মার্চ। স্থান নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় পার্টি অফিস। প্রথমটিতে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ব্যান্ড-তাসা পার্টি, আবির সহযোগে গেরুয়া শিবিরের কর্মী সমর্থকদের উল্লাস। দ্বিতীয়টিতে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপির নেতা, কর্মীদের উচ্ছ্বাসে কার্যত অবরুদ্ধ সংবাদমাধ্যম। আপাদমস্তক গেরুয়া আবির মেখে এক বিজেপি সমর্থক বলেছিলেন, আমাদের এই নতুন পার্টি অফিসটা দলের জন্য অত্যন্ত লাকি! দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপির নয়া কেন্দ্রীয় কার্যালয় সত্যিই গেরুয়া শিবিরের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক কি না, তার তুল্যমূল্য বিচার করার জন্য আজ ওই একই জায়গাতে সংশ্লিষ্ট সমর্থকের দেখা পাওয়া যায়নি। শুধু ওই সমর্থক কেন! মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরাম — এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল কী হতে চলেছে, তা ...
দেশ   তেলেঙ্গানায় টিআরএস ঝড়,  ধূলিসাৎ কংগ্রেস-টিডিপি জোট খুঁজে পাওয়া গেল না বিজেপিকে হায়দরাবাদ, ১১ ডিসেম্বর (পিটিআই): অকাল ভোটে বিরাট জয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগেই গত সেপ্টেম্বরে বিধানসভা ভেঙে যে বাজি ধরেছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও, তাতে তিনি একশ শতাংশ সফল। শুধু সফল নয়, ধারে কাছে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী পর্যন্ত নেই। মঙ্গলবার প্রকাশিত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তেলেঙ্গানায় কামাল করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। ১১৯টি আসনের মধ্যে ৮৭ আসনে এগিয়ে টিআরএস। বিশেষজ্ঞদের মত, এই সংখ্যা ৯০ অতিক্রম করে যেতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং টিডিপি জোট ২২টি আসনে এগিয়ে রইল। বিজেপি তিনটি আসনে। গত বিধানসভা ভোটে টিআরএসের আসন সংখ্যা ছিল ৬০।  এদিন সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হওয়ার পর প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রথম থেকেই প্রতিটি জেলায় এগিয়ে যেতে শুরু করে টিআরএস। তবুও আশায় বুক বাঁধছিলেন কংগ্রেস এবং তেলুগু দেশম পার্টির নেতৃত্ব। পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও হতে পারে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের মুখ শুকিয়ে যায়। পরিবর্তন দূরের কথা, টিআরএসের সঙ্গে অন্যদের ফারাক বিরাট বেড়ে যায়। ক্রমশ ফ...
 পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি, কে কী বললেন?  মন্দির-মসজিদের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ, বিজেপিকে খোঁচা মুফতির শ্রীনগর, ১১ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ায় মন্দির-মসজিদের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের সাফল্য এবং বিজেপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। একদা জোটসঙ্গী বিজেপির বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে ট্যুইটারে পিডিপি নেত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যবাসী মন্দির-মসজিদের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটের (পাঁচ রাজ্যের) ফল প্রমাণ দিচ্ছে, ভারতে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়ছে।’ হিন্দি হৃদয়ে প্রভাব হারিয়েছে বিজেপি, বললেন রজনীকান্ত চেন্নাই, ১১ ডিসেম্বর (পিটিআই): হিন্দি বলয়ে বিজেপি তার প্রভাব হারিয়েছে। ছত্তিশগড়, রাজস্থানে ভরাডুবি এবং মধ্যপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই প্রসঙ্গে এভাবেই মুখ খুললেন তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। পাশাপাশি, ভোটের এই ফল শাসক বিজেপির কাছে ‘বড় ধাক্কা’ দাবি করে ‘মাকাল নিধি মায়াম’ দলের প্রধান কমল হাসান বলেছেন, ‘নতুন শুরুর লক্ষণ। এটাই জনতার বিচার।’ একইসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী...
টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশায় জল, স্বপ্নের দৌড় শেষ রামন সিংয়ের এবার আর কাজ করল না ‘ডাক্তার সাহেবে’র আয়ুর্বেদিক দাওয়াই। কাজে এল না ‘চাউলবাবা’র ভাবমূর্তি বা মোবাইল বিলির প্রকল্পও। ছত্তিশগড়ের রাজপাট হাতছাড়া রামন সিংয়ের। এমনিতে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড তাঁর নামেই। যদিও এবার অধরাই থেকে গেল তাঁর টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার স্বপ্ন। ১৫ বছর আগে ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন রামন সিং। পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই বিজেপি নেতার রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৮৩ সালে। কাওয়ারধা জেলায় কাউন্সিলার পদে জিতে। ১৯৯০ সালে ভোটে জিতে তৎকালীন অখণ্ড মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য হন। নতুন রাজ্য ছত্তিশগড়ে ২০০৩ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন রামন সিং। ওই বছরের শেষে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেন। বিজেপির আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী একটানা এতদিন ক্ষমতায় থাকেননি। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন টানা ৪ হাজার ৬১০ দিন। আর রামন সিং চলতি বছরের আগস্টে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্র...
পথে কংগ্রেস নয়াদিল্লি ও ভোপাল, ১১ ডিসেম্বর: বুথফেরত সমীক্ষা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল। আর মঙ্গলবার ভোটযন্ত্র খুলতেই যুযুধান দু’পক্ষের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখল মধ্যপ্রদেশ। কখনও এগিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। আবার কখনও টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্যের ২৩০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ১১০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। আর বিজেপি এগিয়ে ১০৮টি আসনে। ভোটপ্রাপ্তির হার যদি এরকমই থাকে, তাহলে কোনও দলই এককভাবে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না। সেক্ষেত্রে গোবলয়ের এই রাজ্যে সরকার গড়তে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে বিএসপি, সপা এবং অন্যান্য ছোট পার্টি ও নির্দল বিধায়কেরা। গত নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ১৬৫টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ৫৮টি। কিন্তু, গত দু’বছর ধরে বিভিন্ন উপনির্বাচন ও স্থানীয় ভোটে কংগ্রেসের পুনরুত্থানের আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল। ফলে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে ধুন্ধমার লড়াই অপেক্ষা করছে, তা একপ্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। সেইমতো গত বছরের থেকে আসন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হতে চলেছে কংগ্রেসের। ১১৬টি আসন পেলে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা মেলে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায়। বিজেপি বা কংগ্রেস ক...
ধরাশায়ী বিজেপির ১৫ বছরের ‘দুর্জয় গড়’ দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস রায়পুর, ১১ ডিসেম্বর (পিটিআই): ছত্তিশগড়ে ধরাশায়ী বিজেপির ‘দুর্জয় গড়’। ছত্রখান মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং ‘মিথ’। ১৫ বছর পর দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। বিজেপির ভরাডুবির দায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রামন সিং। আর কংগ্রেসের এই বিশাল জয়ের জেরে কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল অজিত যোগী ও মায়াবতীর জোট। সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বহেনজির সঙ্গে জোট করা কংগ্রেসত্যাগী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যোগীর নবগঠিত দলের কোনও ভূমিকাই রইল না। শুধু দলের ভরাডুবি নয়, ছত্তিশগড়ে হারতে হয়েছে বিজেপি সরকারের একঝাঁক মন্ত্রীকে। তবে জিতেছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং। ৯০ আসনের ছত্তিশগড়ে গতবার বিজেপির দখলে ছিল ৪৯টি আসন। এবার তা এক ধাক্কায় কমে হয়েছে ১৩। কংগ্রেসের আসনসংখ্যা ৩৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৮। আর মায়াবতীর বিএসপি, সিপিআই ও অজিত যোগীর জনতা কংগ্রেস ছত্তিশগড় (জে)-এর জোট জয়ী হয়েছে ৯টি আসনে। জিতেছেন যোগী নিজেও। ১৮ বছর আগে মধ্যপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হওয়া এই রাজ্যে গত ১৫ বছর ধরে রামন সিংয়ের নেতৃত্ব...
ইতিহাসে আজকের দিন মহান মানুষের:- ১৯২২: অভিনেতা দিলীপকুমারের জন্ম ১৯২৪: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর জন্ম ১৯৩৫: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৪২: সঙ্গীত পরিচালক আনন্দ শংকরের জন্ম ১৯৬১: অভিনেতা তুলসী চক্রবর্তীর মৃত্যু ১৯৬৯: ভারতীয় দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দের জন্ম ২০০৪: সঙ্গীতশিল্পী এম এস শুভলক্ষ্মীর মৃত্যু ২০১২: সেতারশিল্পী রবিশঙ্করের মৃত্যু Published by:- newstop101.blogspot.com
নেতা বাছতে আজই বৈঠকে বসছেন জয়ী বিধায়করা রাজস্থান কংগ্রেসের, এবার চর্চা  সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়েই জয়পুর ও নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর (পিটিআই): প্রত্যাশামতোই রাজস্থানের ভোটারদের রায় গেল কংগ্রেসের পক্ষে। ২০০ সদস্যের বিধানসভায় ভোট হয়েছে ১৯৯ আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ১০২টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে ৭১টি আসন। বিএসপি এবং অন্যান্যরা পেয়েছে যথাক্রমে ৬টি এবং ২০টি আসন। রাজস্থানে বিজেপির ভরাডুবির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের (৬৫) প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই। কৃষক বিক্ষোভ, আনন্দপাল সিং সংঘর্ষের জেরে রাজপুতদের বিক্ষোভ, রাজ্যে একাধিক গণপিটুনির ঘটনা, স্বঘোষিত গোরক্ষকদের তাণ্ডব এবং ‘পদ্মাবত’ নিয়ে বিক্ষোভ— এই ঘটনাগুলি মোটেই ভালো চোখে দেখেননি রাজস্থানের মানুষ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই বসুন্ধরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি। একে বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বছরে ১৫ লক্ষ চাকরির স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। তার উপর কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হলেও রাজ্য সরকার সে বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন থাকায় জনরোষ পুঞ্জিভূত হয়েছে। তাই, ‘মোদি ম্যাজিক’ কাজ করেনি। গণনা শুরু হওয়...
জোট না মোদি ম্যাজিক?  ২০১৯ কোন পথে পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলই উস্কে দিল জল্পনা নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: তিন রাজ্যে পরাজয়ে বিজেপির কাছে সবথেকে বিপজ্জনক বার্তা হল তাঁদের একমাত্র ক্রাউডপুলার নরেন্দ্র মোদি আর একা যথেষ্ট নয় ভোটে জয়ের ক্ষেত্রে। ২০১৪ সালের পর ঠিক এই মিথই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে রাজ্যেই নির্বাচন হয়েছে সেখানেই বিজেপি অনায়াসে জয়ী হয়েছে এক ও একমাত্র মোদি ম্যাজিকের জোরে। দেখা গিয়েছে হারা ম্যাচ মোদি একাই জিতিয়ে দিয়েছেন। রাজস্থানে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হয়েছে। সুতরাং রাজস্থানে বিজেপি হারবে। এই আভাস ছিল সর্বত্রই। কিন্তু বিজেপি নিশ্চিত ছিল খাদের কিনারা থেকে দলকে ফের সরকারে বসাতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের দুই মু্খ্যমন্ত্রী অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁরা টানা ১৫ বছর সরকারে থাকার কারণে যদি কিছু বিরোধী মনোভাব জণগণের মধ্যে তৈরি হয়েও থাকে, সেটা অন্তর্হিত করার জন্য আছেন একজনই। নরেন্দ্র মোদি। সুতরাং এই তিন রাজ্যে মোদি একটানা সভা করলেন। কিন্তু আজকের ফলাফল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, মোদি একা আর কোনও নির্বাচন জেতাতে পারছেন ...
  ৫ রাজ্যেই বিজেপির ভরাডুবি রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের জয় সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের প্রিয় স্লোগান কংগ্রেস মুক্ত ভারত আপাতত দূর অস্ত! উল্টে হিন্দি বলয়ে চূড়ান্ত ভরাডুবি হল শাসক বিজেপি’র। ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রের সর্ববৃহৎ দুই রাজ্যসহ তিনটি সরকারই হাতছাড়া হল। থমকে গেল দেশের মানচিত্রের গেরুয়াকরণের প্রবণতা। ১৫ বছর পর মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ফিরে আসছে কংগ্রেস। পাঁচ বছর আগের হারানো জমি পুনরুদ্ধার করে রাজস্থানেও সরকার গড়ছে তারা। তেলেঙ্গানায় বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। দক্ষিণ ভারত নয়, পূর্ব ভারত নয়, খোদ বিজেপির গড় হিন্দিভাষী আর্যাবর্তের তিন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য থেকে এভাবে উৎখাত হওয়া মোদি-অমিত শাহ’র কাছে বিরাট ধাক্কা। ঠিক লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে এই তিন রাজ্যের পরাজয়ের ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী মোদি ম্যাজিক অবশেষে সমাপ্ত? বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রতিরোধ করতে মরিয়া লড়াই করেছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। বস্তুত কংগ্রেসের ৩-0 জয়ের মাঝখানে একা কুম্ভ হয়ে আজ দীর্ঘক্ষণ দাঁ...
  বিজেপি’র শেষের শুরু, বাকি  রাজ্যেও ওরা হারবে: মমতা সন্দীপ স্বর্ণকার, নয়াদিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: ‘কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার কাউন্টডাউন শুরু। ২০১৯, বিজেপি ফিনিশ।’ পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের জেরে আজ এই মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘সেমিফাইনালই ইঙ্গিত দিয়ে দিল লোকসভা ভোটে কী হতে যাচ্ছে। এটা বিজেপি’র শেষের শুরু। বাকি রাজ্যেও ওরা হারবে’। এরপরেই মমতা তাঁর ফেডারেল ফ্রন্টের প্রসঙ্গ তোলেন। গতকাল মহাজোটের বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লি এসেছেন তৃণমূলনেত্রী। মহাজোটের অন্যতম কাণ্ডারি হিসেবে তিনি গতকাল বেশ কিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন।  তবে এরপরেও রাজ্যে যে তিনি একা লড়বেন, তা এদিন স্পষ্ট করে দেন। রাজ্যস্তরে যে যেখানে শক্তিশালী সেখানেই তাঁকে অন্য দলগুলির সমর্থন দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘বাংলায় আমরা একাই লড়ব। তবে কেন্দ্রে বিরোধী জোটেই আছি। ফেডারেল ফ্রন্ট স্ট্রং হলেই ভারত শক্তিশালী হবে।’ মমতা বলেন, ‘আর মাস দুয়েকের মধ্যেই লোকসভা ভোটের ঘণ্টা বেজে যাবে। মে মাসে এই সরকারের মেয়াদ শেষ। আর ফিরতে হবে না।’  পাঁচ রাজ্যে বিরোধীদের জয়কে গণতন্ত্রের জয় ব...