Skip to main content
দেশ
 

তেলেঙ্গানায় টিআরএস ঝড়, 
ধূলিসাৎ কংগ্রেস-টিডিপি জোট
খুঁজে পাওয়া গেল না বিজেপিকে

হায়দরাবাদ, ১১ ডিসেম্বর (পিটিআই): অকাল ভোটে বিরাট জয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগেই গত সেপ্টেম্বরে বিধানসভা ভেঙে যে বাজি ধরেছিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও, তাতে তিনি একশ শতাংশ সফল। শুধু সফল নয়, ধারে কাছে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী পর্যন্ত নেই। মঙ্গলবার প্রকাশিত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে তেলেঙ্গানায় কামাল করল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)। ১১৯টি আসনের মধ্যে ৮৭ আসনে এগিয়ে টিআরএস। বিশেষজ্ঞদের মত, এই সংখ্যা ৯০ অতিক্রম করে যেতে পারে। অন্যদিকে, কংগ্রেস এবং টিডিপি জোট ২২টি আসনে এগিয়ে রইল। বিজেপি তিনটি আসনে। গত বিধানসভা ভোটে টিআরএসের আসন সংখ্যা ছিল ৬০। 
এদিন সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হওয়ার পর প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে যায়। প্রথম থেকেই প্রতিটি জেলায় এগিয়ে যেতে শুরু করে টিআরএস। তবুও আশায় বুক বাঁধছিলেন কংগ্রেস এবং তেলুগু দেশম পার্টির নেতৃত্ব। পরিস্থিতির পরিবর্তন হলেও হতে পারে। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধীদের মুখ শুকিয়ে যায়। পরিবর্তন দূরের কথা, টিআরএসের সঙ্গে অন্যদের ফারাক বিরাট বেড়ে যায়। ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করে বিরোধীদের দপ্তর। অন্যদিকে, ঢোল, নাকাড়া এবং গোলাপি আবির নিয়ে টিআরএস সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েন। 
কেন এই ফল? কোন জাদুতে বাজিমাত করলেন চন্দ্রশেখর রাও? প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া থাকলেও কেন তা বিরোধীদের দিকে এল না? বিচার বিশ্লেষণ শুরু বিশেষজ্ঞরা। দৃশ্যত হতাশ তেলুগু দেশম পার্টি। কংগ্রেসের হাত ধরে তেলেঙ্গানার ক্ষমতা দখল করার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু, তা অচিরেই ভেঙে গেল। টিডিপির নেতা রাভুলা চন্দ্রশেখর রেড্ডি বলেন, আমরা আরও কিছুটা ভালো ফলের আশা করেছিলাম। এই ফল আমাদের প্রত্যাশা ছিল না। কোথায় ভুল হল, তা পর্যলোচনা করে দেখতে হবে। বিধানসভা ভোটে ব্যর্থ হওয়ার পর আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের ভিতরেই গুঞ্জন উঠেছে, তেলেঙ্গানায় চন্দ্রবাবুর হাত ধরাটাই ভুল হয়েছে। কারণ, পাঁচ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে পৃথক রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানার গঠনের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন চন্দ্রবাবু। যা এখনও তেলেঙ্গানার মানুষ ভুলতে পারেনি। ভোট বাক্সে তারই প্রভাব। পাশাপাশি, তেলেঙ্গানার সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে নিত্যদিনের খিটমিট রাজ্যের মানুষ ভালো ভাবে নেননি। 
শুধু বিরোধীদের প্রতি রাগ নয়, টিআরএসের উন্নয়নও বিধানসভা ভোটে বড় ফ্যাক্টর হয়েছে। সেই উন্নয়নের সঙ্গে কেসিআর মিশিয়ে দিয়েছিলেন জনকল্যাণ প্রকল্পের জাদু। সেই জাদুর ছোঁয়া রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। চাষের জন্য একর পিছু চার হাজার করে টাকা, রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ, বাড়ির পাশাপাশি মেয়ের বিয়েতে এক লক্ষ টাকা সরকারি সহায়তা, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ, গরিবদের দু’কামরার পাকা বাড়ি, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি ইত্যাদি বিভিন্ন জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পে যে তেলেঙ্গানার মানুষ খুশি, তা তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন ইভিএমের বোতাম টিপে। 
যদিও ফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। কংগ্রেস ভিভিপ্যাট ব্যবহার করে নতুন করে গণনার দাবিতে সরব হয়। তেলেঙ্গানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এন উত্তমকুমার রেড্ডি দলের প্রত্যেক প্রার্থীকে ভিভিপ্যাটের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কংগ্রেসের এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ টিআরএস। ভোটে দল স্যুইপ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের ক্যারিশ্মায় সবটা হয়েছে বলে দাবি তাঁর মেয়ে কবিতার। সংসদ সদস্য কবিতা বলেন, আমরা সাড়ে চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি। মানুষ তার মূল্য দিয়েছেন। শুধু টিআরএস নয়, তাদের ‘বন্ধু’ দল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এমআইএম) হায়দরাবাদে নিজেদের গড় ধরে রেখেছে। পৃথকভাবে লড়েছিল বিজেপি

Comments

Popular posts from this blog