টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশায় জল, স্বপ্নের দৌড় শেষ রামন সিংয়ের
এবার আর কাজ করল না ‘ডাক্তার সাহেবে’র আয়ুর্বেদিক দাওয়াই। কাজে এল না ‘চাউলবাবা’র ভাবমূর্তি বা মোবাইল বিলির প্রকল্পও। ছত্তিশগড়ের রাজপাট হাতছাড়া রামন সিংয়ের। এমনিতে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড তাঁর নামেই। যদিও এবার অধরাই থেকে গেল তাঁর টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার স্বপ্ন।
১৫ বছর আগে ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন রামন সিং। পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই বিজেপি নেতার রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৮৩ সালে। কাওয়ারধা জেলায় কাউন্সিলার পদে জিতে। ১৯৯০ সালে ভোটে জিতে তৎকালীন অখণ্ড মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য হন। নতুন রাজ্য ছত্তিশগড়ে ২০০৩ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন রামন সিং। ওই বছরের শেষে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেন। বিজেপির আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী একটানা এতদিন ক্ষমতায় থাকেননি। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন টানা ৪ হাজার ৬১০ দিন। আর রামন সিং চলতি বছরের আগস্টে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ৫ হাজার দিন পূর্ণ করে ফেলেন।
জনমোহিনী ভাবমূর্তিতে ভর করে টানা তিনটি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করেছিলেন রামন সিং। গবির মানুষের জন্য চাল বিলির প্রকল্প হাতে নিয়ে ‘চাউল বাবা’র তকমা মিলেছিল। পরে ৫০ লক্ষ মহিলা ও পড়ুয়ার জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন বিলি করে ছত্তিশগড়ের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী রামন সিংয়ের নয়া নাম হয় ‘মোবাইলওয়ালে বাবা’। আর ‘ডাক্তার সাহেব’ হিসেবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন গরিব মানুষের জন্য। রাজনীতিবিদ হিসেবে ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রের অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রামন সিং। যদিও ২০০৩ সালে তাঁকে ফের রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয় ছত্তিশগড়ের হাল ধরার জন্য। সেই বছরই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের ভোটে জিতে টানা তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হন। দলের সবচেয়ে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা নেতা হয়ে ওঠেন।
এবারও প্রচারপর্বের শুরু থেকেই রামন সিং ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার চালান। কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বলেন, রাহুল গান্ধীর কৃষিঋণ মকুবের প্রচারকে নিছক ‘বিনোদন’ মনে করছেন রাজ্যের মানুষ। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস ত্যাগী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দলের সঙ্গে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জোট নিয়েও। দুই দলের প্রতীক প্রসঙ্গে রামন সিংয়ের মন্তব্য ছিল, ‘লাঙলধারী কৃষকে’র প্রয়োজন পড়ে না ‘হাতি’তে চড়ার। যদিও ভোটের ফলাফল চুরমার করে দিল রামন সিংয়ের টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন। ছত্তিশগড়ের মানুষের রায়, ‘পদ্ম’ নয়, এবার আস্থা ‘হাতে’র উপর।
১৫ বছর আগে ২০০৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন রামন সিং। পেশায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক এই বিজেপি নেতার রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৮৩ সালে। কাওয়ারধা জেলায় কাউন্সিলার পদে জিতে। ১৯৯০ সালে ভোটে জিতে তৎকালীন অখণ্ড মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার সদস্য হন। নতুন রাজ্য ছত্তিশগড়ে ২০০৩ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হন রামন সিং। ওই বছরের শেষে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেন। বিজেপির আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী একটানা এতদিন ক্ষমতায় থাকেননি। ২০১৪ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন টানা ৪ হাজার ৬১০ দিন। আর রামন সিং চলতি বছরের আগস্টে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে টানা ৫ হাজার দিন পূর্ণ করে ফেলেন।
জনমোহিনী ভাবমূর্তিতে ভর করে টানা তিনটি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করেছিলেন রামন সিং। গবির মানুষের জন্য চাল বিলির প্রকল্প হাতে নিয়ে ‘চাউল বাবা’র তকমা মিলেছিল। পরে ৫০ লক্ষ মহিলা ও পড়ুয়ার জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন বিলি করে ছত্তিশগড়ের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী রামন সিংয়ের নয়া নাম হয় ‘মোবাইলওয়ালে বাবা’। আর ‘ডাক্তার সাহেব’ হিসেবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন গরিব মানুষের জন্য। রাজনীতিবিদ হিসেবে ১৯৯৯ সালে কেন্দ্রের অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন রামন সিং। যদিও ২০০৩ সালে তাঁকে ফের রাজ্যে ফেরত পাঠানো হয় ছত্তিশগড়ের হাল ধরার জন্য। সেই বছরই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী। ২০০৮ ও ২০১৩ সালের ভোটে জিতে টানা তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হন। দলের সবচেয়ে দীর্ঘদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা নেতা হয়ে ওঠেন।
এবারও প্রচারপর্বের শুরু থেকেই রামন সিং ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। জনমোহিনী ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার চালান। কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বলেন, রাহুল গান্ধীর কৃষিঋণ মকুবের প্রচারকে নিছক ‘বিনোদন’ মনে করছেন রাজ্যের মানুষ। কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কংগ্রেস ত্যাগী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর দলের সঙ্গে বিএসপি নেত্রী মায়াবতীর জোট নিয়েও। দুই দলের প্রতীক প্রসঙ্গে রামন সিংয়ের মন্তব্য ছিল, ‘লাঙলধারী কৃষকে’র প্রয়োজন পড়ে না ‘হাতি’তে চড়ার। যদিও ভোটের ফলাফল চুরমার করে দিল রামন সিংয়ের টানা চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন। ছত্তিশগড়ের মানুষের রায়, ‘পদ্ম’ নয়, এবার আস্থা ‘হাতে’র উপর।
Comments
Post a Comment